ডেস্ক রিপোর্ট | ৭ মে ২০২৫
বুধবার ভোররাতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের অন্তত নয়টি স্থানে একের পর এক প্রবল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ভারত সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামক একটি সামরিক অভিযানের আওতায় তারা এই হামলা চালিয়েছে। অভিযানে টার্গেট করা হয় সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলো, যেগুলো ভারতের ভেতরে হামলার পরিকল্পনায় যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ।
এই ঘটনার পর পাকিস্তানের লাহোর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার জন্য বিমানবন্দরটি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখা হবে। বাতিল করা হয়েছে সব ফ্লাইট এবং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রবেশ ও বাহির পথ। নিরাপত্তা বাহিনী পুরো এলাকায় নজরদারি জোরদার করেছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “এই হামলাগুলো ছিল সম্পূর্ণ লক্ষ্যনির্ভর, পরিমিত এবং উত্তেজনা না বাড়ানোর কৌশল অনুসরণ করে পরিচালিত। যেসব ঘাঁটিকে লক্ষ্য করা হয়েছে, সেগুলো থেকেই ভারতের ভেতরে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছিল। পাকিস্তানের কোনো সামরিক স্থাপনাকে টার্গেট করা হয়নি।”
হামলার পর পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশপাশের এলাকা কেঁপে ওঠে। বিস্ফোরণগুলোর সম্পূর্ণ বিবরণ এখনো পাওয়া যায়নি।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র টেলিভিশন চ্যানেল এআরওয়াই-কে বলেন, “ভারত পাকিস্তানের তিনটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এর উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।”
এই উত্তেজনা শুরু হয় সম্প্রতি ভারতীয় কাশ্মীরে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের ওপর এক প্রাণঘাতী হামলার পর, যেখানে ২৬ জন নিহত হন। ভারত সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেয়। পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে এবং দাবি করে তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল যে ভারত এরকম কোনো সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে।
এই ঘটনার পর দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা নতুন করে বাড়ছে। আন্তর্জাতিক মহল গভীর উদ্বেগের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
💜